ঢাকামঙ্গলবার , ২৩শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. করপোরেট সংবাদ
  6. কৃষি
  7. খেলাধুলা
  8. গণমাধ্যম
  9. চাকরীর খবর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. ধর্ম-দর্শন
  13. নগর জীবন
  14. নারী
  15. নির্মল ভাবনা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

স্টোকসের ব্যাটে ইংল্যান্ডের বিশ্বজয়

নির্মল বার্তা ডেস্ক
নভেম্বর ১৬, ২০২২ ১২:৪৫ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

জস বাটলার ট্রফি উঁচিয়ে ধরার পর রঙিন আতশবাজিতে ঝলমল করে ওঠে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড। ট্রফি নিয়ে মঞ্চ থেকে নেমে সেলফি উৎসবে মাতোয়ারা বাটলার-স্টোকসরা। স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে মাঠে পড়ে থাকা কনফেত্তি তুলে আবার ওড়াচ্ছেন কেউ কেউ। গ্যালারিতে উড়তে থাকা দুএকটা লাল-সাদা পতাকায় তখন সবটুকু আলো গিয়ে পড়েছে। পাকিস্তানকে পাঁচ উইকেটে উড়িয়ে দিয়ে চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। টি ২০ বিশ্বকাপের অষ্টম আসরে রবিবাসরীয় ফাইনালে বাবর আজমদের দেওয়া ১৩৮ রানের লক্ষ্য ইংল্যান্ড টপকে যায় ছয় বল বাকি থাকতে। পাঁচ উইকেট হারিয়ে। ২০১০ সালের পর আবারও ছোট্ট ফরম্যাটের বড় ট্রফি গেল ক্রিকেটের আঁতুড়ঘরে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সমান তারাও এই ফরম্যাটে এখন দুবারের চ্যাম্পিয়ন।

ইমরান খান হতে পারলেন না বাবর আজম। ২০১৬ টি ২০ বিশ্বকাপ হাতছাড়া করা বেন স্টোকস দেখালেন কিভাবে ইতিহাস তৈরি করতে হয়। ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর ২০২২ টি ২০ বিশ্বকাপও ইংল্যান্ড জিতল স্টোকসের হাত ধরে। মেলবোর্নে সাদা-সবুজ রং ম্লান করে স্টোকস উড়িয়ে দিলেন লাল-সাদা পতাকা। মোহাম্মদ ওয়াসিমের করা ১৯তম ওভারের শেষ খাটো লেন্থ বল মিড উইকেট পার হতেই স্টোকসের বাঁধনহারা উদ্যাপন। অপরাজিত ৫২। তবে ম্যাচসেরা হয়েছেন দুর্দান্ত বোলিংয়ে মাত্র ১২ রানে তিন উইকেট নেওয়া স্যাম কারেন। টুর্নামেন্টসেরাও তিনি।

মাঠের বাইরের রং আর মাঠের পারফরম্যান্স যে আলাদা, সেটা দেখাল ইংল্যান্ড। অ্যাডিলেডে ভারতকে উড়িয়ে দিয়ে ইংলিশরা জিতেছিল ১০ উইকেটে। মেলবোর্নে একই রূপ। বিশাল স্টেডিয়ামের বাইরেও বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে ফ্যান জোন তৈরি হয়েছিল। সেখানে নানা আয়োজনে ভরিয়ে তুলেছিল পাকিস্তানি সমর্থকরা। দর্শক সমর্থনের বিচার করলে তো ট্রফি পাকিস্তানের হাতেই ওঠার কথা। ৮০ হাজার ৪৬২ জন দর্শকের সিংহভাগই যে ছিল পাকিস্তানের। কিন্তু জস বাটলারের দলটা প্রমাণ করল কেন তারা আলাদা।

আগের রাতে বৃষ্টি শঙ্কা তৈরি করেছিল। কাল সকাল থেকেই মেলবোর্নে রোদ উঠলেও খেলার সময় মেঘে ভরে যায়। ইংল্যান্ডের ইনিংস শুরু হলে সেই সম্ভাবনা বাড়লেও খেলা বন্ধ হয়নি। সেমিফাইনাল ও ফাইনালে বাটলারের টস-ভাগ্য পক্ষে এলো। ফাইনালেও প্রতিপক্ষকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানিয়ে লক্ষ্য তাড়ায় সফল হলেন। টি ২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে পাকিস্তান করল ১৩৭ রান। আগে ব্যাটিং করে যৌথভাবে ফাইনালে যা সর্বনিম্ন স্কোর। ২০১২ সালে স্বাগতিক শ্রীলংকার বিপক্ষে এই স্কোর করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে এই রান করেও লংকানদের হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল ক্যারিবীয়রা। ইংল্যান্ড তা হতে দেয়নি। আগের ম্যাচের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ম্যাচসেরা অ্যালেক্স হেলস এদিন শাহিন আফ্রিদির বলে এক রান করে ফেরেন। অধিনায়ক বাটলার অবশ্য তাতে দমে যাননি। খেলেছেন তার মতোই।

গতি আর সুইংয়ে হারিস রউফ এদিন অন্যভাবে চিনিয়েছেন নিজেকে। বাটলার (২৬) ও ফিল সল্টকে (১০) তুলে নিয়ে জমিয়ে তুলেছিলেন। পাওয়ারপ্লে শেষ হওয়ার আগেই ৪৫ রানে ইংল্যান্ড হারায় তিন উইকেট। ২০১৬ টি ২০ বিশ্বকাপে ইডেন গার্ডেনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শেষ ওভারে ২২ রান দিয়েছিলেন স্টোকস। তিনিই ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর টি ২০তেও দেখালেন কিভাবে ম্যাচ শেষ করতে হয়। একপাশ আগলে রাখা স্টোকসের একসময় রান ছিল ৩৪ বলে ২৪। তিনি শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ৪৯ বলে ৫২ রানে। হ্যারি ব্রুকের ২০ ও মঈন আলী ১২ বলে ১৯ রান করে তার আগেই চাপ কমিয়ে দিয়েছিলেন। পাকিস্তানের হারের মুখে আরও একটি আঘাত লাগে। দ্বিতীয় স্পেলে বোলিংয়ে এসে চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন শাহীন আফ্রিদি। তিনি নিজের ওভার শেষ করতে পারলে হয়তো ম্যাচ ক্লোজ হতে পারত।

মেলবোর্নের বিশাল মাঠে পাকিস্তানের শুরুটা হয়েছিল ভালো। আক্রমণাত্মক না হলেও এই টি ২০ বিশ্বকাপের জন্য আদর্শ ব্যাটিং। সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে করা জুটির আরেকটি পুনরাবৃত্তি হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না উইকেটকিপার-ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান। তাকে বোল্ড করে ইংল্যান্ডকে প্রথম সাফল্য এনে দেন স্যাম কারেন। ব্যাটের কানায় লেগে বোল্ড হয়ে ফেরেন রিজওয়ান। প্রথম ছয় ওভার শেষে চাপে পড়ে যায় পাকিস্তান। এক উইকেট হারিয়ে পাওয়াপ্লেতে ৩৯ রান করে তারা।

এরপর ইংল্যান্ডকে আরও শক্ত অবস্থানে নিয়ে আসেন লেগ-স্পিনার আদিল রশিদ। আক্রমণে এসেই মোহাম্মদ হারিসকে ক্যাচে পরিণত করেন আদিল। তার ঝুলিয়ে দেওয়া বলে উইকেট থেকে বেরিয়ে এসে উড়িয়ে মারেন হারিস। টাইমিং হয়নি ঠিকঠাক। লং-অনে সহজ ক্যাচ নেন স্টোকস। দুই উইকেট হারিয়ে ধাক্কা সামাল দিতে মরিয়া হয়ে ওঠেন অধিনায়ক বাবর। শান মাসুদ ভালো সমর্থন দেন। চতুর্থ উইকেটে পাকিস্তানের ইনিংসের সর্বোচ্চ জুটি হয়। ২৪ বলে তারা তোলেন ৩৯ রান। ১১ ওভারে ৮৪। পাকিস্তানের স্কোর তখন বড় হওয়ার অপেক্ষায়। আবারও বল হাতে পাকিস্তানকে ধাক্কা দেন আদিল রশিদ। এবার তিনি ফেরান অধিনায়ক বাবরকে (৩২)। পরের ওভারে নতুন ব্যাটার ইফতেখার আহমেদকে স্টোকস আউট করলে চাপে পড়ে যায় পাকিস্তান। সেই চাপ থেকে আর বেরিয়ে আসতে পারেনি তারা। পাকিস্তান একশ পূর্ণ করে ১৫ ওভারে। শেষ পাঁচ ওভারে ছয় উইকেট হাতে নিয়ে তারা তোলে মাত্র ৩১ রান। শান মাসুদের ২৮ বলে ৩৮ সর্বোচ্চ। শাদাব খান ১৪ বলে ২০ রান।

প্রতিপক্ষকে অল্প রানে আটকে রাখতে দুর্দান্ত বোলিং করেন স্যাম কারেন। চার ওভারে মাত্র ১২ রান দিয়ে ধরেন তিন শিকার। রশিদ ২২ রানে নেন দুটি। ২৭ রান দিয়ে ক্রিস জর্ডানের প্রাপ্তিও দুই উইকেট। টি ২০ বিশ্বকাপের পরের আসরের যৌথ আয়োজক ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্র। ২০২৪ সালে ছোট্ট ফরম্যাটের এই টুর্নামেন্ট হবে আরও বড় পরিসরে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।