ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ আর নেই। বৃহস্পতিবার ৯৬ বছর বয়সে তিনি মারা যান বলে বাকিংহ্যাম প্যালেস জানিয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার বাকিংহ্যাম প্যালেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ অসুস্থ। তাকে চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে।
এমন খবর জানার পর ৯৬ বছর বয়সী রানির পাশে থাকার জন্য তার কাছে ছুটে আসেন তার ছেলে-মেয়ে ও রাজ পরিবারের অন্যন্য সদস্যরা।
রানি এলিজাবেথ শেষ সময়ে স্কটল্যান্ডের বালমোরাল প্রাসাদে ছিলেন। এখানে গ্রীষ্মকালীন সময় কাটাচ্ছিলেন তিনি। তার সঙ্গে তার বড় ছেলে ছিল। অসুস্থতার খবর শোনার পর অন্যরাও আসা শুরু করেন।
বাকিংহাম প্যালেস জানিয়েছে, বালমোরাল ক্যাসেলে বৃহস্পতিবার (০৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শান্তিতে মৃত্যুবরণ করেছেন রানি। স্কটল্যান্ড থেকে তার মরদেহ শুক্রবার লন্ডনে আনা হবে।
বেশ কিছু দিন ধরে শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। ভালোভাবে হাঁটাচলাও করতে পারছিলেন না। স্কটল্যান্ডের বালমোরাল ক্যাসলে অবস্থান করছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টার পর বাকিংহাম প্যালেস এক বিবৃতিতে রানির অসুস্থতার কথা জানায়।
রানির অসুস্থতার খবর পেয়ে বালমোরাল প্যালেসে ছুটে যান তাঁর চার ছেলেমেয়ে— যুবরাজ চার্লস (৭৩), রাজকুমারী অ্যান (৭২), যুবরাজ অ্যান্ড্রিউ (৬২), যুবরাজ এডওয়ার্ড (৫৮) এবং চার্লসের বড় ছেলে যুবরাজ উইলিয়াম। সুদূর আমেরিকা থেকে ছুটে যান উইলিয়ামের ভাই হ্যারি এবং তাঁর স্ত্রী মেগান।
মঙ্গলবারই ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে লিজ ট্রাসকে নিয়োগ করেছিলেন রানি এলিজাবেথ। প্রথা ভেঙে বাকিংহামের পরিবর্তে বালমোরাল প্রাসাদে বসেই নতুন প্রধানমন্ত্রীকে ট্রাসকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন রানি এলিজাবেথ।
সবচেয়ে বেশি সময় (৭০ বছর) ধরে স্বীয় পদে থাকা এলিজাবেথ রাজ সিংহাসনে বসেন ১৯৫২ সালে। রানির মৃত্যতে তাঁর বড় ছেলে প্রিন্স চার্লস (সাবেক প্রিন্স অব ওয়েলস) ব্রিটেনের নতুন রাজার মুকুট মাথায় পরবেন।
১৯২৬ সালের ২১ এপ্রিল রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ লন্ডনের মেফেয়ারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর সময়কালে ব্রিটেনের ১৫ জন প্রধানমন্ত্রীকে নিয়োগ দেন রানি, যাদের মধ্যে উইনস্টন চার্চিলও ছিলেন।