দেশে প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে রক্তস্বল্পতাজনিত দুরারোগ্য ব্যাধি থ্যালাসেমিয়া। বর্তমানে দেশে এক কোটি ৮০ লাখ মানুষ থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলেছেন, এ রোগের চিকিৎসা ব্যবস্থা এখনও অপ্রতুল। আর সেবার মানও বাড়েনি। চিকিৎসা ব্যবস্থা ঢাকাকেন্দ্রিক হওয়ায় সবচেয়ে বেশি অবহেলিত গ্রামের রোগীরা। এ ছাড়া সচেতনতার অভাবে এবং রোগী শনাক্ত না হওয়ায় প্রতিনিয়ত এই রোগের বাহক ও রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। নীরব এই ঘাতক রোগ থেকে বাঁচতে বিয়ের আগে রক্ত পরীক্ষা করার পাশাপাশি সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তারা।
রোববার (৯ মে) বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস উপলক্ষে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের থ্যালাসেমিয়া সেন্টারের উদ্যোগে আয়োজিত সেমিনারে এ আহবান জানান চিকিৎসকরা। সেমিনারে থ্যালাসেমিয়া সম্পর্কে মানুষ সচেতন নয় জানিয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলেন, বিশ্বে মোট জনসংখ্যার ৫ শতাংশ মানুষ থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত। বাংলাদেশে সে সংখ্যা আরও বেশি। দেশে এর চিকিৎসা ও ট্রান্সপ্লান্টেশনের সুযোগ কম। তাই এই রোগকে প্রতিরোধ করতে হবে।
তারা জানান, দেশে বর্তমানে এক কোটি ৮০ লাখ মানুষ থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত। চিকিৎসায় থ্যালাসেমিয়ায় রোগীদের সম্পূর্ণ সুস্থ করা কঠিন। এমনকি বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্টেশনের মাধ্যমেও তা বজায় রাখা যায় না। এ অবস্থায় সবার সচেতনতা প্রয়োজন। বিশে^র বিভিন্ন দেশ বিয়ের আগে থ্যালাসেমিয়া পরীক্ষার মাধ্যমে আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই কমিয়ে এনেছে। বাংলাদেশের রোগীর সংখ্যা কমাতে প্রয়োজনে জাতীয় পরিচয়পত্রে তথ্য সংযোজন করতে হবে।
অনুষ্ঠানে শিশু হাসপাতালের পরিচালনা বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা বলেন, শিশু হাসপাতালে থ্যালাসেমিয়া রোগীদের জন্য স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে। এ রোগের চিকিৎসার চেয়ে সচেতনতা অনেক বেশি জরুরি। থ্যালাসেমিয়া রোগীরা যেন ভালোভাবে চিকিৎসা নিতে পারে সেজন্য সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে।