ডিভোর্স না দিয়ে অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ক্রিকেটার নাসির হোসেন, তার স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মি এবং তাম্মির মা সুমি আক্তারের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসীমের আদালতে শুনানি শেষে বিচারক এই আদেশ দেন। এমন সিদ্ধান্তের পরপরই নিজের অবস্থান জানান তামিমার স্বামী রাকিব হাসান।
যেহেতু আইনত তামিম এখনো রাকিবের স্ত্রী। সেক্ষেত্রে এই মামলার রায়ের পর তামিমা আবারও রাকিবের সংসারে ফিরতে চাইলে কি করবে তিনি, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে রাকিব বলেন, ‘আমি পিবিআইকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই যে সত্যিটা ওনারা সামনে নিয়ে আসছে। এখনো তো সে (তাম্মি) আইনত আমার ওয়াইফ। তো এখন স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কটা দুই জনের। আমার সিদ্ধান্তে তো হবে না তারও সিদ্ধান্ত আছে। অবশ্যই সে যদি কন্টিনিউ করে আমি করব।’ এ ছাড়াও ক্রিকেটার নাসির হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি।
এর আগে, নাসির ও তামিমার বিয়ে অবৈধ বলে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পরে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন এ সংক্রান্ত মামলার বাদী ও তামিমার সাবেক স্বামী রাকিব।
নাসির-তামিমাকে ৩১ অক্টোবর আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে। যদি না আসেন তাদের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হবে। রাকিব এখন তাকিয়ে আছেন আদালতের পরবর্তীও নির্দেশের দিকে।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে— তালাক যথাযথ হয়নি জেনেও নাসির বিয়ে করেছেন তামিমাকে। তামিমা রাকিবকে তালাক দেননি। আইনগতভাবে রাকিব তালাকের কোনো নোটিশও পাননি। তামিমা উল্টো জালিয়াতি করে ডাকবিভাগের তালাকের নোটিশ তৈরি করে তা বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। যথাযথ প্রক্রিয়ায় তালাক না দেওয়ার ফলে তামিমা তাম্মী এখনও রাকিবের স্ত্রী হিসেবে বহাল রয়েছেন।
দেশের ধর্মীয় বিধিবিধান ও আইন অনুযায়ী এক স্বামীকে তালাক না দিয়ে অন্য কাউকে বিয়ে করা অবৈধ এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এমন পরিস্থিতিতে ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তামিমা তাম্মীর বিয়ে অবৈধ বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।