রাজ মাল্টিমিডিয়ার চেয়ারম্যান ও চলচ্চিত্র প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজকে দুই সহযোগীসহ বনানীর বাসায় অভিযান চালিয়ে আটক করেছে র্যাব।
বুধবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত সাড়ে দশটা পর্যন্ত বনানীর সাত নং সড়কে রাজের বাসায় এ অভিযান চালায় র্যাব। আটকের পর তাদের র্যাব সদর দপ্তরে নিয়ে যওয়া হয়।
র্যাব সূত্র জানায়, তার বাড়ি থেকে মদ, শিশা, যৌন উত্তেজক ওষুধ উদ্ধার করা হয়েছে। রাজ চলচ্চিত্র প্রযোজনার পাশাপাশি অভিনয় করেন। তিনি অভিনেত্রী পরীমনির প্রথম চলচ্চিত্রের প্রযোজক ছিলেন।
র্যাবের মুখপাত্র খন্দাকার আল মইন বলেছেন, মডেল পিয়াশার সহযোগী মিসু হাসানের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাজের বাড়িতে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। মিসু হাসানকে মঙ্গলবার রাতে আটক করা হয়েছিল।
রাত ১০টা ২৫ মিনিটে নজরুল ইসলাম রাজকে বাসা থেকে বের করা হয়। রাত ১০টার দিকে তার বাসা থেকে জব্দ করা মাদক ও সরঞ্জাম গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে নিয়ে আসেন র্যাব-১ এর সদস্যরা।
এর আগে, রাত আটটার দিকে র্যাবের একটি দল রাজের বনানীর জি ব্লকের ৭ নম্বর রোডের ৪১ নম্বর বাসায় অভিযান শুরু করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের উপ-পরিচালক মেজর হুসাইন রইসুল আজম মনি।
গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে তরুণী মুনিয়ার মরদেহ উদ্ধারের পর প্রথম আলোচনায় আসেন রাজ। সেসময় রাজের সঙ্গে মুনিয়ার একাধিক অন্তরঙ্গ ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়।
সেসময় বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে রাজকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, মুনিয়ার সঙ্গে রাজের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তিনিই মুনিয়াকে একটি নাটকে অভিনয়ের সুযোগ করে দেন। তবে নাটকটির শুটিং শেষ হয়নি।
নজরুল ইসলাম রাজের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের নাম রাজ মাল্টিমিডিয়া প্রোডাকশন হাউজ। এদিকে, বুধবার বিকেলে চিত্রনায়িকা পরীমণির বনানীর বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। পরে রাতে তাকে আটক করা হয়। তার বাসায় পাওয়া যায় বিপুল পরিমাণ মাদক।